২৩ জুন কি দিবস - ২৩ জুন কি দিবস বাংলাদেশ

>২৩ জুন কি দিবস, তা নিচে উল্লেখ করা হবে। সুতরাং ২৩ জুন কি দিবস? সে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পুরো আর্টিকেলটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগের সহিত পড়তে থাকুন। প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগের সহিত পড়লে আপনি, ২৩ জুন কি দিবস? সে সম্পর্কে জানতে পারবেন।

পেজ সূচিপত্র: ২৩ জুন কি দিবস - ২৩ জুন কি দিবস বাংলাদেশ

২৩ জুন কি দিবস

জুন মাসের ২৩ তারিখে অনেকগুলো দিবস রয়েছে। যেমন: পলাশী দিবস, আন্তর্জাতিক অলিম্পিক দিবস এবং জাতিসংঘ পাবলিক সার্ভিস দিবস ইত্যাদি। এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিবস হলো: আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। নানা আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে, ও আওয়ামী লীগ ২৩ শে জুন তাদের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন করে থাকে। 

আওয়ামী লীগের সাথে সংশ্লিষ্ট অন্যান্য অঙ্গ সংগঠনগুলোও যথাযথ মর্যাদা সহিত প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন করে থাকে। আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠার বার্ষিকী উপলক্ষে, পৃন্ট এবং অনলাইন পত্রিকা গুলোতে বিশেষ বিশেষ কলাম ছাপানো হয়। সেই সাথে সরকারি এবং বেসরকারি টেলিভিশনে, বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। 

প্রতিবছর জুন মাসের ২৩ তারিখে, আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করা হয়। ২৩ জুন কি দিবস বাংলাদেশ, আশা করি সেই প্রশ্নের উত্তর পেয়েছেন। নিচে ২৩ জুন আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য এবং ২৩ জুন আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ব্যানার তুলে ধরা হবে। 

২৩ জুন কি দিবস বাংলাদেশ

২৩ জুন কি দিবস বাংলাদেশ, তা আর্টিকেলটির এই অংশে তুলে ধরা হবে। তাই আপনি যদি জানতে চান, তাহলে আর্টিকেলের এই অংশটি পড়তে থাকুন। আপনি আপনার কাঙ্খিত প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন। তো আসেন দেখে নেয়া যাক, ২৩ জুন কি দিবস বাংলাদেশ?

বাংলাদেশে জুন মাসের ২৩ তারিখে  আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করা হয়। ১৯৪৯ সালে ঢাকায় আওয়ামীলীগ প্রতিষ্ঠা লাভ করে। আর সে কারণেই প্রতিবছর, জুন মাসের ২৩ তারিখে আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন করা হয়। কখন এবং কিভাবে লীগ প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে সে সম্পর্কে যদি আপনি বিস্তারিত তথ্য জানতে চান, তাহলে পুরা আর্টিকেলটি আপনাকে পড়তে হবে। 
কেননা, আর্টিকেলটির নিচের অংশ, আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠা সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। নিম্ন বর্ণিত তথ্য গুলো মনোযোগের সহিত পড়লে, আওয়ামী লীগের ইতিহাস সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পারবেন। তো আসুন দেখে নেয়া যাক, ২৩ জুন আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য।

২৩ জুন আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী

পূর্বেই বলা হয়েছে যে, ২৩ জুন আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। কেননা জুন মাসের ২৩ তারিখেই আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠা লাভ করে। ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন আওয়ামী লীগের যাত্রা শুরু হয়। তৎকালীন সময়ে আওয়ামী লীগের নাম ছিলো: 'পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ'। তখন এই সংগঠনটির সভাপতির দায়িত্ব দেয়া হয় মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীকে। 

আর সহসভাপতির দায়িত্ব দেয়া হয়  আতাউর রহমান খান, শাখাওয়াত হোসেন ও আলী আহমদ সাহেবকে।এবং সাংগঠনটির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেয়া হয় টাঙ্গাইলের  শামসুল হক সাহেবকে।

যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকেরে  দায়িত্ব দেয়া হয়,  শেখ মুজিবুর রহমান, এ কে রফিকুল হোসেনকে ও খন্দকার মোশতাক আহমদকে। আর কোথা থেকে দায়িত্ব প্রদান করা হয়, ইয়ার মোহাম্মদ খানকে। এই সময়, শেখ মুজিব শেখ মুজিবুর রহমান কারা অভ্যন্তরে ছিলেন। পরবর্তীতে ১৯৫২ সালে, শেখ মুজিবুর রহমানকে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেয়া হয়। 

এবং ১৯৫৩ সালে, আওয়ামী মুসলিম লীগের এক সম্মেলনে, শেখ মুজিবুর রহমানকে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব  দেয়া হয়। এরপর থেকে তিনি ১৯৬৬ সাল পর্যন্ত টানা ১৩ বছর সাধারণ সম্পাদক এর দায়িত্ব পালন করেন। সংগঠনটি প্রতিষ্ঠার পর থেকেই, পূর্ব পাকিস্তানের স্বায়ত্তশাসন সহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে দাবি উত্থাপন করে। 

যাইহোক পরবর্তীতে মাওলানা হামিদ খান ভাসানী, "পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ" নামটি কে সামান্য পরিবর্তন করে পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগ রাখেন। কেন না তিনি মনে করেন, মুসলিম শব্দটি বাতিল করলে তা সার্বজনীনভাবে ধর্মনিরপেক্ষ দলে পরিণত হবে। 

তৎকালীন, ক্ষমতাসীন ধর্ম মুসলিম লীগকে পরাজিত করার লক্ষ্যে শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্ট গঠন করেন। অর্থাৎ সকল বিরোধী দলগুলোকে একত্রিত করে ক্ষমতাসীন মুসলিম লীগ কে ক্ষমতাচ্যুত করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। 
পরবর্তীতে ১৯৫৭ সালে, মাওলানা ভাসানী নতুন আরেকটি দল গঠন করেন। সেই দলটির নাম হল: ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি বা ন্যাপ। আওয়ামী মুসলিম লীগের সাথে মতপার্থক্যের কারণে তিনি এই দলটি গ্রহণ করেন যদিও আমি মুসলিম লীগ গঠন করার ক্ষেত্রে মাওলানা ভাসানীর ভূমিকা ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। 

২৩ জুন কি দিবস বাংলাদেশ, সে সম্পর্কে তোমাদের উপরে বিস্তারিত আলোচনা তুলে ধরা হয়েছে। নিচে
২৩ জুন আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ব্যানার তুলে ধরা হবে। তাই আপনি যদি, ২৩ জুন আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ব্যানার, তাহলে নিম্ন বর্ণিত, ২৩ জুন আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ব্যানার সমূহ দেখে নিতে পারেন। 

২৩ জুন আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ব্যানার

২৩ জুন আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ব্যানার, নিচে তুলে ধরা হবে। আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে, ব্যানার এবং পোস্টার তৈরি করার জন্য, নিম্ন বর্ণিত ২৩ জুন আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ব্যানার অনুসরণ করতে পারেন। নিচে যে সকল, ২৩ জুন আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ব্যানার, তুলে ধরা হবে আশা করি সেই ব্যানার গুলো আপনার ভালো লাগবে। 

চাইলে আপনি নিম্ন বর্ণিত, ২৩ জুন আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ব্যানার সমূহ ডাউনলোড করে নিজের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করতে পারেন। আপনি যদি, ২৩ জুন আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ব্যানার সমূহ ডাউনলোড করে রাখেন, তাহলে যেকোনো সময় যে কোন কাজে ব্যবহার করতে পারবেন। চলুন দেখে নেয়া যাক, ২৩ জুন আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ব্যানার। 

২৩ জুন কি দিবস বাংলাদেশ সে বিষয়ে সম্পর্কে ইতিমধ্যেই উপরে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। তাই আপনি যদি প্রথম থেকে আর্টিকেলটি পড়ে থাকেন তাহলে নিশ্চয়ই জেনেছেন যে, ২৩ জুন কি দিবস বাংলাদেশ। 

শেষ কথা

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ঐতিহ্যবাহী একটি সংগঠন যা পূর্বে বহুৎ চড়াই উতরাই পেরিয়ে বর্তমানে এই অবস্থায় উপনীত হয়েছে। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরে, স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি বরাবরই প্রচেষ্টা চালিয়েছে আওয়ামী লীগের মাঝে ভাঙ্গন সৃষ্টি করার। সেই সেই লক্ষ্যে তারা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের ষড়যন্ত্র করেছে। আওয়ামীলীগকে নিশ্চিহ্ন করার সবচেয়ে ভয়ংকর, ও নিন্দনীয় যেই ষড়যন্ত্রটি তারা করেছিল, সেটি হলো ও১৫ ই আগস্টে বঙ্গবন্ধুকে পুরো পরিবার সহ হত্যা করা।

ঘাতকদের উদ্দেশ্য ছিল, যদি আওয়ামী লীগের প্রধান কে হত্যা করা যায়, তাহলে আওয়ামীলীগ নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে। আর আওয়ামীলীগ যদি নিশ্চিহ্ন হয়ে যায় তাহলে তারা তাদের উদ্দেশ্য সাধন করতে সক্ষম হবে। এছাড়া আরও বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে তারা আওয়ামীলীগকে নিশ্চিহ্ন করার প্রচেষ্টা চালিয়ে গিয়েছে। 
তবে আওয়ামী লীগ তাদের নিজের উপরে অটল থাকায় আওয়ামী লীগের ক্ষতি কেউ সাধন করতে পারে। ১৯৭৫ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কে হত্যা করার পরে দীর্ঘ ২১ বছর পর ১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ পুনরায় ক্ষমতায় আসে। এরপর ২০০৮ সালের নির্বাচনে মোট  ২৩০ টি আসনে  জয় লাভ করে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। বর্তমানে আওয়ামী লীগের প্রধান শেখ হাসিনা বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘ সময় ধরে দায়িত্ব পালন করা প্রধানমন্ত্রী।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪