ইসমে আজমের ফজিলত সম্পর্কে তথ্য
যেকোনো ফজিলতপূর্ণ আমল করার আগে আমরা সে সম্পর্কে না জেনেই আমলগুলো শুরু করে দেয়। কিন্তু এই কাজ থেকে বেরিয়ে এসে আমাদেরকে ইসমে আজমের ফজিলত সম্পর্কে তথ্য জেনে তারপরে নিয়মিত আমল করতে হবে।
পেজ সূচিপত্রঃ ইসমে আজম ফজিলত সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জেনে নিন
- ইসমে আজমের ফজিলত সম্পর্কে তথ্য
- ইসমে আজম বিষয়টি কি
- ইসমে আজম কি দোয়া
- শক্তিশালী ইসমে আজম
- ইসমে আজম দোয়া কয়টি
- ইসমে আজম কিভাবে পড়তে হয়
- ইসমে আজম কখন পড়তে হয়
- ইসমে আজম কতবার পড়বেন
- ইসমে আজম পাঠ করার ফজিলত
- আমাদের শেষ কথা
ইসমে আজমের ফজিলত সম্পর্কে তথ্য
ইসমে আজমের ফজিলত সম্পর্কে তথ্য জানতে হলে আপনাকে সম্পূর্ণ আর্টিকেল মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে। তবে আপনাদেরকে একটি বিষয়ে প্রথমে জানিয়ে রাখি যে ইসলামে আজম হলো খুবই ফজিলতপূর্ণ একটি দোয়া। আমরা বিভিন্ন রকমের বিষয় আল্লাহ তাআলার কাছে বলে থাকি। কিন্তু আল্লাহ তায়ালা সেই দোয়াগুলো কবুল করে না। এ বিষয়টি নিয়ে আমরা অনেকেই হতাশার মধ্যে থাকি।
আরো পড়ুনঃ তারাবির নামাজের দোয়া বাংলা অর্থ সহ পড়ুন
আমাদের এই হতাশা দূর করার খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং কার্যকরী একটি সমাধান হলো ইসমে আজম। আপনি যদি ইসমে আজমের ফজিলত সম্পর্কে অবগত থাকেন তাহলে খুব ভালোভাবেই এই আমলগুলো করতে পারবেন। আমাদের মধ্যে বেশিরভাগ মানুষের ক্ষেত্রে দেখা যায় তারা এ সময় আজম সম্পর্কে কোন ধরনের ফজিলত জানে না। যে কোন আমল করার আগে অবশ্যই আমাদেরকে সেই বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নিতে হবে।
বিভিন্ন হাদিসে ইসমে আজম এর ফজিলত বর্ণনা করা হয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম একটি শক্তিশালী হাদিস হযরত আনাস রাঃ থেকে বর্ণিত হয়েছে, একবার রসুল সাঃ মসজিদে প্রবেশ করেছেন। এমতাবস্থায় এক লোক নামাজ শেষে এ দোয়া করছিলেন, আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা বিআন্নি আশহাদু আন্নাকা আনতা আল্লাহু লা ইলাহা ইল্লা আনতাল আহাদুস সামাদুল্লাজি লাম ইয়ালিদ ওয়া লাম ইউলাদ ওয়া লাম ইকুল্লাহু কুফুওয়ান আহাদ।
অর্থঃ হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে প্রার্থনা করছি আর সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, তুমিই একমাত্র আল্লাহ, তুমি ছাড়া অন্য কোনো মাবুদ নেই, তুমি একক সত্তা, স্বয়ংসম্পূর্ণ, যিনি কাউকে জন্ম দেননি এবং তাকেও কেউ জন্ম দেয়নি, আর তার সমকক্ষ কেউ নেই।
এই দোয়া পড়তে দেখে আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ সেই লোককে বললেন, "তুমি জানো, তুমি কি দিয়ে দোয়া করেছ? তুমি দোয়া করেছ ইসমে আজম দিয়ে, যার মাধ্যমে দোয়া করলে আল্লাহ কবুল করেন। এর মাধ্যমে কিছু চাইলে আল্লাহ তা প্রদান করেন।" {সুনানে তিরমিজিঃ ৩৫৪৪} আল্লামা জাজারি রহঃ বলেছেন, আমার মতে ইসমে আজম "লা ইলাহা ইল্লা হুয়াল হাইয়ুল ক্বাইয়ুম" যার অর্থঃ আল্লাহ তিনিই, যিনি ছাড়া কোন মাবুদ নেই। তিনি চিরঞ্জীব, সমগ্র জগতের নিয়ন্ত্রক।
ইসমে আজম বিষয়টি কি
ইসমে আজম বিষয়টি কি? এই বিষয়ে আমাদের পরিষ্কার ধারণা নিয়ে নিতে হবে। কারণ আমরা অনেকেই বিভিন্ন ধরনের আমল করে থাকি কিন্তু সে আমলটি কেন করা হয় এবং সেই আমলের গুরুত্ব কত বেশি এ বিষয়ে আমাদের কোন ধারণা থাকে না। যদি সে আমলের গুরুত্ব এবং আমলটি সম্পর্কে জেনে শুনে করা হয় তাহলে আমরা খুব সহজেই আল্লাহতালার কাছে আমাদের দোয়া কবুল করাতে পারবো।
ইসম শব্দের বাংলা অর্থ হল নাম। এর দ্বিতীয় অংশ আজম শব্দের বাংলা অর্থ হলো মহান বা শ্রেষ্ঠ। আমরা ইতিমধ্যেই জানি যে আল্লাহ তায়ালার অসংখ্য নাম রয়েছে। এই নামগুলোর মধ্য থেকে যে সকল নাম দিয়ে শুরু করলে আল্লাহ তায়ালার বড়ত্ব ও শ্রেষ্ঠত্ব সবথেকে বেশি প্রকাশিত হয় সেই নাম গুলোকে বলা হয় ইসমে আজম। সহজ কথাই আল্লাহ তায়ালার নাম গুলোর মধ্যে শ্রেষ্ঠ নামগুলো হলো ইসমে আজম।
ইসমে আজম কি দোয়া
ইসমে আজম কি দোয়া? অনেকেই এ বিষয়টি জানেনা। আমরা যেহেতু ইতিমধ্যেই ইসমে আজমের ফজিলত সম্পর্কে তথ্য জেনেছি সেহেতু আমাদেরকে ভালোভাবে জানতে হবে এবং জেনে শুনে আমল করতে হবে। ইসমে আজম হল আল্লাহতালার গুণবাচক নাম সমূহ। মুসলিম হিসেবে আমরা প্রত্যেকেই একটি বিষয় জানিয়ে যে আল্লাহতালার অসংখ্য নাম রয়েছে। এই নামগুলোর মধ্যে সবথেকে বেশি আল্লাহ তায়ালার বীরত্ব এবং মহত্ত্ব প্রকাশ করা হয়েছে নামগুলোতে সেগুলোই হল ইসমে আজম।
কোরআনের বিভিন্ন আয়াতে আল্লাহ তায়ালার এই নামগুলো নিয়ে বেশি কিছু দোয়া রয়েছে। আল্লাহ তায়ালার প্রশংসা করা তিনি খুবই পছন্দ করেন। তাই আমরা যদি আল্লাহতালার প্রশংসা করে আল্লাহতালার কাছে আমাদের মনের ইচ্ছা গুলো প্রকাশ করে তাহলে তিনি আমাদের মনের ইচ্ছা পূরণ করবেন। তাই দোয়া করার সময় ইসমে আজম পাঠ করে আমাদেরকে আল্লাহ তায়ালার কাছে দোয়া করতে হবে।
শক্তিশালী ইসমে আজম
শক্তিশালী ইসমে আজম নিয়ে যেহেতু আমরা আজকের এই আর্টিকেল আলোচনা করছি সেহেতু আমাদের কে ইসমে আজম সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা রাখতে হবে। আমরা যারা মুসলিম রয়েছে সাধারণত তারা প্রতিদিন অসংখ্য দোয়া পড়ে থাকি। সাধারণত এই দোয়াগুলো এত বেশি শক্তিশালী নয় যার কারণে আল্লাহ তায়ালা আমাদের মনের ইচ্ছা পূরণ করেন না। যদি আমরা আমাদের মনের ইচ্ছা পূরণ করাতে চাই তাহলে অবশ্যই আমাদেরকে শক্তিশালী কোন দোয়া পাঠ করতে হবে।
যেহেতু শক্তিশালী দোয়ার কথা উঠেছে সে হয়তো আপনাদেরকে জানিয়ে রাখি যে ইসমে আজম অর্থাৎ আল্লাহ তায়ালার গুণবাচক নাম গুলো খুবই শক্তিশালী। কুরআনের বিভিন্ন জায়গায় আল্লাহতালা তার এই গণবাচক নাম সম্পর্কে বেশ কিছু আয়াত উল্লেখ করেছেন। আমরা যদি আমাদের মনের চাওয়া পাওয়া গুলো পূরণ করাতে চাই আল্লাহতালার কাছে তাহলে আমাদেরকে এই শক্তিশালী ইসমে আজম পাঠ করে দোয়া করতে হবে।
আমরা ইতিমধ্যেই জেনেছি ইসমে আজম হলো আল্লাহ তাআলার মহান এবং গুণবাচক নাম। এ ইসমে আজম এর আমল করার মাধ্যমে যদি আমরা আল্লাহ তাআলার কাছে কিছু চাই তাহলে মহান আল্লাহ তা'আলা তা খুব সহজেই পূরণ করে থাকেন। সাধারণত এ বিষয়টি বিভিন্ন হাদিস এবং কোরআন দ্বারা প্রমাণিত হয়েছে। সহি হাদিসে আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ আমাদেরকে এই বিষয়টি জানিয়েছেন।
ইসমে আজম দোয়া কয়টি
ইসমে আজমের ফজিলত সম্পর্কে তথ্য জানানো হয়েছে এখন আমরা ইসমে আজম দোয়া কয়টি? সেই বিষয়ে জানব। আমরা এই আমলের ফজিলত সম্পর্কে খুব ভালোভাবে জেনেছি এছাড়া আরো বেশ কিছু তথ্য জেনেছি যেগুলো গুরুত্বপূর্ণ তবে মূল বিষয় হলো ইসমে আজম দোয়া কয়টি? এবং কোন দোয়াগুলো ইসমে আজম হিসেবে পরিচিত এই বিষয়ে আমাদেরকে অবশ্যই ভালোভাবে জানতে হবে।
সুরা বাকারার ১৬৩ নম্বর আয়াত
আরবিঃ وَإِلَهُكُمْ إِلَهٌ وَاحِدٌ لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ الرَّحْمَنُ الرَّحِيمُ
উচ্চারণঃ ওয়া ইলাহুকুম ইলাহু ওয়াহিদ, লা ইলাহা ইল্লা হুয়ার রহমানুর রহিম।
বাংলা অর্থঃ আর তোমাদের উপাস্য একমাত্র উপাস্য আল্লাহ তায়ালা। তিনি ব্যতীত আর কোন সত্যিকার উপাস্য নেই, তিনি পরম করুণাময়, অতিশয় দয়ালু।
সুরা আল ইমরানের ১ নম্বর আয়াত
আরবিঃ اللّٰهُ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا هُوَ ۙ الۡحَیُّ الۡقَیُّوۡمُ
উচ্চারণঃ আল্লাহু লা ইলাহা ইল্লাহহুয়াল হাইয়ুল ক্বাইয়ুম।
বাংলা অর্থঃ আল্লাহ তিনিই, যিনি ছাড়া কোন মাবুদ নেই। তিনি চিরঞ্জীব, (সমগ্র জগতের) নিয়ন্ত্রক।
ইসমে আজম কিভাবে পড়তে হয়
ইসমে আজম কিভাবে পড়তে হয়? এই বিষয়টি সম্পর্কে অনেকেই জানতে চাই। আমরা ইতিমধ্যেই জেনেছি যে ইসমে আজম হল একটি গুরুত্বপূর্ণ দোয়া কিন্তু এই গুরুত্বপূর্ণ দোয়াটি কিভাবে পড়তে হয়? এই বিষয়ে আমাদের তেমন কোন ধারণা নেই। তবে আপনাদের সুবিধার্থে জানিয়ে রাখি যে এই দোয়ার গুরুত্ব এবং ফজিলত অনেক বেশি। সাধারণত তাই সঠিক নিয়মে দোয়াটি পড়তে হবে।
ইসমে আজম পড়ার মাধ্যমে আমরা আল্লাহতালার কাছে নিজেকে আত্মসমর্পণ করে দেয়। সাধারণত আল্লাহ তায়ালা আমাদের মনের আশা গুলো পূরণ করে এবং আমাদেরকে বিপদের হাত থেকে রক্ষা করে। আল্লাহ তায়ালা যেন আমাদের এই দোয়াগুলো কবুল করে সাধারণত এর জন্য সঠিক নিয়মে ইসমে আজম পড়তে হবে। একজন মুসলিম হিসেবে আমাদের অবশ্যই এই গুরুত্বপূর্ণ আমলটি কিভাবে করতে হয়? এ সম্পর্কে ধারণা রাখা উচিত।
আমরা সকলেই চাই আমাদের দোয়াগুলো আল্লাহতালা কবুল করুক। যদি এই চাওয়া পাওয়া মন থেকে হয় তাহলে আমাদেরকে আল্লাহ তায়ালার কাছে পরিষ্কার মনে দোয়া করতে হবে। মুসলিম ঘরের সন্তানদের অবশ্যই এই দোয়াটি কিভাবে পড়তে হয় সেই বিষয়ে ধারণা রাখতে হবে। আমাদের প্রিয় নবী হযরত সাঃ বলেছেন, ইসমে আজমের মাধ্যমে যদি কোনো বান্দা আল্লাহ এর নিকট দোয়া যায় তবে আল্লাহ তা অবশ্যই পূরণ করবেন।
ইসমে আজম কখন পড়তে হয়
ইসমে আজমের ফজিলত সম্পর্কে তথ্য আলোচনা করা হয়েছে। আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় রয়েছে সেটি হল ইসমে আজম কখন পড়তে হয়। প্রতিটি আমল করার বেশ কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম এবং সময় রয়েছে। আমরা যদি এই নিয়ম এবং সময়ের মধ্যে এই আমলগুলো করতে পারি তাহলে আল্লাহ তায়ালা আমাদের এই আমলগুলো কবুল করবে। তাই আমাদেরকে জেনে রাখতে হবে ইসমে আজম কখন পড়তে হবে।
আপনাদের জানার সুবিধার্থে বলে রাখি যে নামাজ পড়াকালীন সময়ে আমরা আল্লাহ তায়ালার সবথেকে নিকটবর্তী স্থানে থাকি। সাধারণত এই সময় আল্লাহ তায়ালা আমাদের দোয়াগুলো কবুল করে থাকে। তাই যে কোন দোয়া নামাজ শেষ করার পরেই করতে হবে অর্থাৎ সালাম ফেরানোর পরেই যদি ইসমে আজম পড়া হয় তাহলে এই বিষয়টি সব থেকে বেশি উত্তম বলে বিবেচনা করা হয়ে থাকে। তাই বেশিরভাগ আলেমগণ নামাজের পরে এই দোয়া করার নির্দেশনা দেন।
বিশেষ করে ফজরের ওয়াক্ত এবং মাগরিবের ওয়াক্ত সব থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণত তাই এই সময় গুলোকে ইসমে আজম পড়ার বেশি কার্যকরী সময় হিসেবে বিবেচনা করা হয়। সাধারণত এই সময় আমাদেরকে বেশি বেশি আল্লাহ তায়ালাকে স্মরণ করতে হবে এবং ইবাদত পালন করতে হবে। নামাজ শেষ করার পরে দোয়া গুলো পাঠ করে আমাদেরকে আল্লাহতালার কাছে আমাদের মনের কথাগুলো বলতে হবে।
ইসমে আজম কতবার পড়বেন
ইসমে আজম কতবার পড়বেন? খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। আপনি যদি আল্লাহ তাআলার কাছে আপনার মনের ইচ্ছাগুলো পূরণ করাতে চান তাহলে আপনাকে ইসমে আজম পাঠ করতে হবে। যদি এই দোয়াটি নিয়মিত পাঠ করতে পারে তাহলে আল্লাহ তায়ালা আপনার দোয়া কবুল করবেন ইনশাআল্লাহ। তবে ইসমে আজম কতবার পড়তে হয় এ বিষয়ে আমরা অনেকেই কোন ধারণা রাখি না।
আরো পড়ুনঃ আজ আরবি মাসের কত তারিখ জানুন
অনেকেই অনেক রকম বিষয় পড়ে থাকে কিন্তু আপনি যত খুশি ততবার পাঠ করতে পারেন। এ বিষয়টি পাঠ করার কোন নির্দিষ্ট সংখ্যা নেই যে এ সংখ্যায় আপনাকে পাঠ করতে হবে। যত বেশি পাঠ করবেন আল্লাহ তা'আলা আপনার প্রতি তত বেশি খুশি হবে কারণ এখানে আল্লাহ তায়ালার গুরুত্ব এবং মহত্বের বর্ণনা দেওয়া হয়। তাই আপনার যত ইচ্ছা ততবার এই দোয়াগুলো পড়তে পারবেন।
ইসমে আজম পাঠ করার ফজিলত
ইসমে আজম পাঠ করার ফজিলত ইতিমধ্যেই বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আমাদের সৃষ্টি কর্তা হলো একমাত্র আল্লাহতালা। তিনি আমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন এবং তিনি আমাদেরকে লালন পালন করেন। যদি মহান আল্লাহতালার কাছে কোন কিছু প্রার্থনা করেন তাহলে মন থেকে করতে হবে এবং এই প্রার্থনা করার জিনিস যদি আপনার জন্য মঙ্গল হয় তাহলে আল্লাহ তায়ালা সেটি আপনাকে দেবেন।
কিন্তু অনেক সময় আমাদের দোয়া আল্লাহ তায়ালার কাছে কবুল হয় না। এর অনেকগুলো কারণ রয়েছে। আমরা আল্লাহ তাআলার কাছে দোয়া করি এর সাথে সাথে বিভিন্ন ধরনের গুনাহর কাজ করে থাকি। তাই প্রথমে আমাদেরকে আল্লাহতালার কাছে ক্ষমা চাইতে হবে তওবা করতে হবে এরপরে আল্লাহতালার কাছে ইসমে আজম পড়ে দোয়া চাইতে হবে। আশা করি আল্লাহ তাআলা আপনার দোয়াগুলো কবুল করবেন।
আমাদের শেষ কথা
ইসমে আজমের ফজিলত সম্পর্কে তথ্য আলোচনা করা হয়েছে। আপনি যদি এই আমলটি করে আল্লাহ তালাকে খুশি করতে চান এবং আপনার মনের ইচ্ছাগুলো পূরণ করতে চান তাহলে আপনাকে নিয়মিত এই দোয়াগুলো পাঠ করতে হবে। আশা করছেন নিয়ম অনুযায়ী এই দোয়াগুলো পাঠ করলে খুব সহজে আল্লাহ তায়ালা আপনার মনের ইচ্ছা গুলো পূরণ করবে। আশা করছি বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।
এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ এবং তথ্যমূলক আর্টিকেল নিয়মিত পড়তে হলে আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করতে থাকুন। কারণ আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে নিয়মিত এই ধরনের আর্টিকেল প্রকাশ করে থাকি।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url