ফারাক্কা বাঁধ বাংলাদেশের কোন জেলা অবস্থিত
   ফারাক্কা বাঁধ বাংলাদেশের কোন জেলা অবস্থিত, সেই বিষয় সম্পর্কে নিচে আলোচনা করা হবে। আপনি যদি জানতে চান যে, ফারাক্কা বাঁধ বাংলাদেশের কোন জেলা অবস্থিত? তাহলে নিচে চোখ রাখুন। আশা করি আপনি আপনার কাঙ্খিত প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন। চলুন দেখে নেই, ফারাক্কা বাঁধ বাংলাদেশের কোন জেলা অবস্থিত?
পেজ সূচিপত্র: ফারাক্কা বাঁধ বাংলাদেশের কোন জেলা অবস্থিত
উপস্থাপনা
  ফারাক্কা বাঁধকে বলা হয় বাংলাদেশের মরণ ফাঁদ। কেননা ফারাক্কা বাঁধের কারণে
  বাংলাদেশের যে অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে চলেছে তা কখনোই পূরণযোগ্য
  নয়। ফারাক্কা বাঁধের কারণে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক দিক থেকে ব্যাপক
  ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে চলেছে। শুধু তাই নয় ফারাক্কা বাঁধের কারণে
  বাংলাদেশের নদ নদী গুলো শুকিয়ে যাচ্ছে। এবং নদীগুলো দিয়ে পলি
  প্রবাহ কমে যাচ্ছে।
  আর নদীর পলি প্রবাহ কমে যাওয়ার কারণে, জমি অনুর্বর হয়ে পড়ছে, এর ফলে
  ফসল ফলন কম হচ্ছে। শুধু তাই নয় ফারাক্কা বাঁধের কারণে কার্বন প্রবাহ
  কমেছে প্রায় ৩০% যা পরিবেশের জন্য খুবই ক্ষতিকর। বিশেষ
  করে, সাগরে কার্বনের প্রবাহ কমে যাওয়ার কারণে মাছের উৎপাদন কমে
  যাচ্ছে। এর ফলে মৎস্যজীবীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। 
  আপনি যদি সার্বিকভাবে বিবেচনা করেন তাহলে দেখতে পাবেন যে ফারাক্কা বাঁধের কারণে
  বাংলাদেশের সার্বিকভাবে ব্যাপক হচ্ছে। আর এ কারণেই ফারাক্কা
  বাঁধের সূচনা লগ্ন থেকেই বাংলাদেশিরা সেই বাঁ বিরোধিতা করে
  আসছে। কিন্তু ভারত সরকার সব ধরনের বিরোধীতা উপেক্ষা করে, নিজেদের
  স্বার্থ রক্ষার জন্য ফারাক্কা বাঁধ নির্মাণ করেছে। 
  আপনি যদি ফারাক্কা বাঁধ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে চান তাহলে নিম্ন বর্ণিত
  তথ্যগুলো পড়ুন। চলুন দেখে নেয়া যাক, ফারাক্কা বাঁধ বাংলাদেশের কোন জেলা
  অবস্থিত, ফারাক্কা বাঁধ চালু হয় কবে এবং বাংলাদেশের বাঁধ সমূহ সম্পর্কে
  বিস্তারিত। 
ফারাক্কা বাঁধ বাংলাদেশের কোন জেলা অবস্থিত
  ফারাক্কা বাঁধ বাংলাদেশের কোন জেলা অবস্থিত এবং ফারাক্কা বাঁধ চালু হয়
  কবে সে বিষয়ে সম্পর্কে নিজে আলোচনা করা হবে।  ফারাক্কা
  বাঁধ ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মালদহ ও মুর্শিদাবাদ জেলায় অবস্থিত।ফারাক্কা
  বাঁধ গঙ্গা নদীর উপরে নির্মাণ করা হয়েছে। ভারতের গঙ্গা নদী বাংলাদেশে
  প্রবেশের পরে এর নাম হয়েছে পদ্মা। সেই অর্থে ফারাক্কা বাঁধ পদ্মা নদীর উপরে
  নির্মিত। এখন প্রশ্ন হচ্ছে ফারাক্কা বাঁধ থেকে বাংলাদেশের কোন জেলা সর্বাধিক
  নিকটবর্তী। 
  আরো পড়ুন: ভারতের কয়টি দেশ আছে-ভারতের কয়টি রাজ্য আছে
  বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্ত থেকে ফারাক্কা বাঁধের দূরত্ব ১৮
  কিলোমিটারের মতো। অর্থাৎ ফারাক্কা বাঁধ বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার
  নিকটে অবস্থিত। ফারাক্কা বাঁধ বাংলাদেশের কোন জেলা অবস্থিত, এ প্রশ্নের সঠিক
  উত্তর হলো: ফারাক্কা বাঁধ চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার নিকটে অবস্থিত। 
  ফারাক্কা বাঁধ বাংলাদেশের কোন জেলা অবস্থিত? আশা করি সেই প্রশ্নের উত্তর
  পেয়েছেন। নিচে ফারাক্কা বাঁধ কোন নদীর তীরে অবস্থিত এবং ফারাক্কা বাঁধ চালু হয়
  কবে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। এর পাশাপাশি বাংলাদেশের
  বাঁধ সমূহ সম্পর্কেও বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। 
ফারাক্কা বাঁধ কোন নদীর তীরে অবস্থিত
    ফারাক্কা বাঁধ কোন নদীর তীরে অবস্থিত, নিচে সেই বিষয়ে সম্পর্কে তথ্যবহুল
    আলোচনা তুলে ধরা হবে।তাই, ফারাক্কা বাঁধ কোন নদীর তীরে অবস্থিত সে
    সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে আর্টিকেলের এই অংশটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। 
  
    ফারাক্কা বাঁধ কোন নদীর তীরে অবস্থিত, এই প্রশ্নের উত্তর হলো: গঙ্গা
    নদীর উপরে অবস্থিত। ফারাক্কা বাঁধ যেহেতু ভারতে তাই সেটি গঙ্গা নদীর উপরে
    অবস্থিত। ভারতের গঙ্গা নদী বাংলাদেশে পদ্মা নদী নামে পরিচিত। আর এ
    কারণে বলা হয়ে থাকে যে ফারাক্কা বাঁধ পদ্মা নদীর উপরে নির্মাণ করা
    হয়েছে। 
  
  
    ফারাক্কা বাঁধ কোন নদীর তীরে অবস্থিত, আশা করি এই প্রশ্নের উত্তর
    পেয়েছেন। ফারাক্কা বাঁধ বাংলাদেশের কোন জেলা অবস্থিত, এ প্রশ্নের উত্তর
    ইতোমধ্যেই উপরে তুলে ধরা হয়েছে। নিচে ফারাক্কা বাঁধ চালু হয় কবে এবং
    বাংলাদেশের বাঁধ সমূহ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। 
  
  ফারাক্কা বাঁধ চালু হয় কবে
    ফারাক্কা বাঁধ বহুত পুরাতন একটি বাঁধ। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পূর্বেই এই
    বাঁধের নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছিল যা শেষ হয় ১৯৭৫ সালে। এবং সেই
    বছরেই এপ্রিল মাসে চালু করা হয় ফারাক্কা বাঁধ। অর্থাৎ ফারাক্কা বাঁধ চালু
    হয় কবে? এই প্রশ্নের উত্তর হলো: ১৯৭৫ সালের ২১ এপ্রিল। 
  
  
  এতে করে হুগলি নদীর পলি ধুয়ে পরিষ্কার হয়ে যাবে এবং তা ব্যবহারের উপযুক্ত
  হবে। অর্থাৎ করার জন্য এবং কলকাতা বন্দরকে সচল করার জন্য ভারত সরকার
  ফারাক্কা বাঁধ দেয়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করে। যদিও ফারাক্কা বাঁধের কারণে
  বাংলাদেশ অপূরণীয় ক্ষতির শিকার হবে এ বিষয়টি জানার পরেও নিজেদের স্বার্থ রক্ষার
  জন্য তারা ১৯৬১ বাঁধ নির্মাণ করার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করে।
  যদিও তৎকালীন সময়ে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আপত্তি তোলা হয় কিন্তু তারা সেই আপত্তি
  নাকচ করে দিয়ে যথারীতি বাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু করে দেয়। শুধু
  বাংলাদেশের জনগণ নয় ভারতেরও বিশিষ্ট জনেরা ফারাক্কা বাঁধ নির্মাণের বিপক্ষে
  অবস্থান গ্রহণ করেছিল। সকলের মতামত ও দাবি উপেক্ষা
  করে, একতরফাভাবে ভারত সরকার ফারাক্কা বাঁধ নির্মাণ করে। এবং
  ফারাক্কা বাঁধের নির্মাণ কাজ শেষ হয় ১৯৭৫ সালে।
    ফারাক্কা বাঁধ চালু হয় কবে, আশা করি সেই প্রশ্নের সঠিক উত্তর পেয়েছেন।
    ফারাক্কা বাঁধ বাংলাদেশের কোন জেলা অবস্থিত, এ প্রশ্নের উত্তর উপরে তুলে
    ধরা হয়েছে। এর পাশাপাশি ফারাক্কা বাঁধ কোন নদীর তীরে অবস্থিত সেই প্রশ্নের
    উত্তর উল্লেখ করা হয়েছে। নিচে বাংলাদেশের বাঁধ সমূহ সম্পর্কে আলোচনা করা
    হবে।
  
  বাংলাদেশের বাঁধ সমূহ
    বাংলাদেশের বাঁধ সমূহের তালিকা নিচে তুলে ধরা হবে।  বাংলাদেশের ছোট
    বড় অনেক বাঁধ রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হলো: 
    টাঙ্গন বাঁধ, মনু বাঁধ, ভেড়িবাঁধ ও কাপ্তাই বাঁধ। এই বাত গুলোর মধ্য থেকে
    সর্ববৃহৎ বাঁধ হলো: কাপ্তাই বাঁধ। 
  
  
    কাপ্তাই বাধে একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ
    কেন্দ্রের বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রেডে যুক্ত হয়েছে। বাংলাদেশের যে সকল ছোট বড়
    বাঁধ রয়েছে তার মধ্য থেকে সবচেয়ে লাভজনক এবং গুরুত্বপূর্ণ বাধা হলো
    কাপ্তাই বাঁধ। চলুন দেখে নেয়া যাক, বাংলাদেশের বাঁধ
    সমূহ সম্পর্কে বিস্তারিত। 
  
  
    আরো পড়ুন: জেল হত্যা দিবস কবে-জেল হত্যা দিবস কত তারিখে
  
  
    যদিও অনেকে মনে করে থাকেন যে কাপ্তাই বাঁধের কারণে কিছু কিছু মানুষ ক্ষতির
    শিকার হয়েছে। তবে সার্বিকভাবে বিবেচনা করলে কাপ্তাই বাঁধ দেশের
    অর্থনীতির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। বাংলাদেশের বাঁধ
    সমূহ সম্পর্কে আশা করি বিস্তারিত তথ্য জানতে পেরেছেন। 
  
  
    ফারাক্কা বাঁধ বাংলাদেশের কোন জেলা অবস্থিত এবং ফারাক্কা বাঁধ কোন নদীর তীরে
    অবস্থিত? সেই বিষয়গুলো সম্পর্কে ইতোমধ্যেই উপরে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা
    হয়েছে। এর পাশাপাশি তুলে ধরা হয়েছে, ফারাক্কা বাঁধ চালু হয় কবে। 
  
  শেষ কথাঃফারাক্কা বাঁধ বাংলাদেশের কোন জেলা অবস্থিত
      ফারাক্কা বাঁধ বাংলাদেশের কোন জেলা অবস্থিত এবং ফারাক্কা বাঁধ কোন নদীর
      তীরে অবস্থিত, আশা করি এই প্রশ্নগুলোর উত্তর পেয়েছেন। কেননা ফারাক্কা
      বাঁধ চালু হয় কবে এবং বাংলাদেশের বাঁধ সমূহ সম্পর্কে ইতোমধ্যেই
      বিস্তারিত আলোচনা তুলে ধরা হয়েছে। তাই আপনি যদি মনোযোগ সহকারে প্রথম
      থেকে শেষ পর্যন্ত পুরো আর্টিকেলটি পড়ে থাকেন তাহলে নিশ্চয়ই এই বিষয়গুলো
      সম্পর্কে আপনি বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। 
    
   

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url