ডাব সাবানের দাম কত - ডাভ সাবান প্রাইস ইন বাংলাদেশ

ডাভ সাবান ত্বকের জন্য অত্যন্ত উপকারী। ডাব সাবানের রয়েছে অনেক উপকারী কিছু গুণ। অনেকেই ত্বকে সাবান দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহার করছেন। আবার অনেকেই ব্যবহার করবেন বলে ডাব সাবানের দাম কত সে সম্পর্কে জানতে চান। ডাভ সাবান প্রাইস ইন বাংলাদেশ সম্পর্কে জেনে আপনি যেকোন দোকান থেকে সঠিক মূল্যে এই সাবান কিনতে পারবেন।
ডাব সাবানের দাম কত - ডাভ সাবান প্রাইস ইন বাংলাদেশ
ডাভ সাবান ত্বকের বেশ কিছু সমস্যার সমাধান করে। ত্বকের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দূর করতে ডাভ সাবান কার্যকরী ভূমিকা রাখে। অনেকেই প্রতিনিয়ত ডাব সাবানের দাম কত ও ডাভ সাবান প্রাইস ইন বাংলাদেশ সম্পর্কে জানতে চান। ডাব সাবান সম্পর্কে প্রত্যেকটি বিষয়ে জানতে হলে পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

পোস্ট সূচিপত্রঃ ডাব সাবানের দাম কত - ডাভ সাবান প্রাইস ইন বাংলাদেশ

ডাব সাবানের উপকারিতা

ডাভ সাবান ত্বকের জন্য অত্যন্ত উপকারী। ডাব সাবান রয়েছে নারিকেল তেলের গুনাগুন। ডাব সাবানের নারিকেল তেলের উপাদানগুলো ত্বককে ভালোভাবে মশ্চারাইজ করে। ত্বকের শুষ্কতা দূর করতে ত্বক নরম এবং কোমল করতে ডাব সাবান অত্যন্ত কার্যকরী। ডাব সাবান ত্বকের গভীর থেকে ময়লা পরিষ্কার করে। এই সাবানে কোন ক্ষতিকর উপাদান নেই। 
ডাভ সাবান অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল গুণসম্পন্ন। ডাভ সাবান রয়েছে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল ও এন্টিফাঙ্গাল গুণাগুণ যা ত্বকের ব্যাকটেরিয়া ও ফাঙ্গাসজনিত সমস্যা দূর করে। ডাব সাবান নিয়মিত ব্যবহার করলে ত্বকের প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়। ডাব সাবানে রয়েছে নারিকেল তেলের প্রাকৃতিক সুগন্ধ। ত্বকে এই সাবান ব্যবহার করলে সুঘ্রান ছড়ায়। 

ডাভ সাবান শিশু থেকে বয়স্ক পর্যন্ত প্রত্যেকের ত্বকের জন্যই নিরাপদ। এই সাবানে কোন ক্ষতিকর উপাদান নেই তাই সহজেই নিশ্চিন্তে এই সাবান সকলেই ব্যবহার করতে পারে।

ডাব সাবানের দাম কত

অনেকে প্রতিনিয়ত ডাব সাবান কিনতে গিয়ে ডাব সাবানের দাম কত সে সম্পর্কে জানতে চান। তাছাড়া বেশ কিছু অফারের সময় এই সাবানের দাম কিছুটা কম বেশি হয়। ডাভ সাবানের দাম মূলত এর সাইজ, ওজন, কোম্পানির মান এর উপর ভিত্তি করে এর দাম নির্ধারিত হয়। ভিন্ন ভিন্ন সাইজ ও ওজনের সাবানের দাম ভিন্ন রকম। অর্গানিক ডাক সাবানের দাম কিছুটা বেশি। 

এছাড়া বিভিন্ন অনলাইন শপ অথবা কনজুমার আইটেমের দোকান গুলোতে ডাব সাবানের দামের কিছুটা পার্থক্য দেখা যায়। নিচে বেশ কিছু সাইজের আজকে ডাব সাবানের দাম কত তার একটি তালিকা দেওয়া হলঃ
  • ডাভ সাবান ৫০ গ্রাম দাম ৫৫ টাকা
  • ডাভ সাবান ১৩৫ গ্রাম দাম ১০৫ টাকা
  • ডাভ সাবান ১০০ গ্রাম দাম ৯১ টাকা
  • ডাব বিউটি পিঙ্ক স্কিন কেয়ার ১৩৫ গ্রাম দাম ১৯৫ টাকা
সময় ও স্থানভেদে ডাব সাবানের দাম কিছুটা কম বেশি হতে পারে। কেননা বিভিন্ন অফারের সময় সাবানের দাম কিছুটা কম বেশি হয়। যেকোনো সময় সঠিক দাম জানতে কোন কনজ্যুমার আইটেমের দোকানে জিজ্ঞেস করুন। প্রিয় পাঠক আশা করি ডাব সাবানের দাম কত সে সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।

ডাভ সাবান প্রাইস ইন বাংলাদেশ

অনেকেই প্রতিনিয়ত ডাব সাবানের দাম কত ও ডাভ সাবান প্রাইস ইন বাংলাদেশ সম্পর্কে খোঁজ করেন। সাধারণত ভিন্ন ভিন্ন সময় ডাব সাবানের দাম কিছুটা ভিন্ন রকম হয়। ডাভ সাবানের দাম নির্ধারিত হয় ডাভ সাবানের ওজন, প্যাকের সাইজ, কোম্পানি, সাবানের ধরণের উপর ভিত্তি করে। ডাব সাবানের বেশ কিছু কোয়ালিটি রয়েছে। 

কোয়ালিটি ভেদে এই সাবানের দাম কিছুটা কম-বেশি লক্ষ্য করা যায়। ডাভ সাবান প্রাইস ইন বাংলাদেশ সম্পর্কে অনেকেই জানতে চান। সময় ভেদে ডাব সাবানের দাম কিছুটা কম বেশি হয়। আজকে ডাভ সাবান ৫০ গ্রামের দাম ৫৫ টাকা। ১৩৫ গ্রামের দাম ১০৫ টাকা। ডাভ সাবান ১০০ গ্রামের দাম ৯১ টাকা। ডাব বিউটি পিংক স্কিন কেয়ার ১৩৫ গ্রাম সাবানের দাম ১৯৫ টাকা। 

তবে সময়ের পার্থক্যে এই সাবানের দাম কিছুটা কম বেশি হয়। কেননা বেশ কিছু সময় এই সাবানের সাথে বেশ কিছু অফার যুক্ত করে এর দাম কমবেশি করা হয়। প্রিয় পাঠক আশা করি ডাভ সাবান প্রাইস ইন বাংলাদেশ সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।

ডাব সাবান দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়

অনেকেই প্রতিনিয়ত ডাভ সাবান প্রাইস ইন বাংলাদেশ ও ডাব সাবান দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে খোঁজ করেন। ডাব সাবান সাধারণত ত্বকের পরিচর্যার জন্য ব্যবহারিত হয়। ডাব সাবান ত্বকের তেলতেলে ভাব দূর করতে, ত্বকের ময়লা দূর করতে অত্যন্ত কার্যকরী। কিন্তু পরীক্ষিতভাবে এটি ত্বক ফর্সা করার জন্য নির্দিষ্ট ভাবে কার্যকরী নয়। 
ডাব সাবানের দাম কত - ডাভ সাবান প্রাইস ইন বাংলাদেশ
ত্বকের রং ও উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির জন্য ক্রিম অথবা অন্যান্য উপাদান ব্যবহার করতে হয়। শুধুমাত্র ডাভ সাবান ব্যবহার করে ত্বক ফর্সা করতে পারবেন না। তবে ত্বকের তেলতেলে ও ময়লার আস্তরণ দূর করতে ডাভ সাবান ব্যবহার করতে পারেন। দিনে দুই থেকে তিনবার ডাব সাবান দিয়ে আপনার ত্বক ম্যাসাজ করে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন। এভাবে আপনি আপনার ত্বকের তেলতেলে ভাব ও ময়লা আস্তরণ দূর করতে পারবেন।

ডাভ সাবান কোনটা ভালো

অনেকেই প্রতিনিয়ত খোঁজ করেন ডাব সাবান কোনটা ভালো সে সম্পর্কে। কেননা বাজারে বেশ কিছু কোম্পানির বেশ কিছু কোয়ালিটির ডাভ সাবান পাওয়া যায়। তাই অনেকেই বিড়ম্বনার মধ্যে পড়ে যান কোন সাবান ভালো সে সম্পর্কে। তাই ত্বকের জন্য সবচাইতে উপযোগী নিচে সেই ডাব সাবানের তালিকাঃ
  • ডাভ গোল্ডেন সোপ
  • ডাভ ক্রিম অয়েল সোপ
  • ডাভ হোয়াইট বিউটি বার
  • ডাভ গোফ্রেশ ময়েশ্চার বিউটি পার
  • ডাভ সেনসিটিভ স্কিন বিউটি বার
উপরে দেওয়া সাবান গুলোর মধ্যে থেকে আপনার পছন্দ অনুযায়ী ত্বকের যত্নে যেকোনো সাবান ব্যবহার করতে পারেন। প্রিয় পাঠক আশা করি কোন ডাভ সাবান ভালো সে সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।

আসল ডাভ সাবান চেনার উপায়

অনেকেই জানতে চান ডাব সাবানের দাম কত ও আসল ডাব সাবান চেনার উপায় গুলো সম্পর্কে। বাজারে এত বেশি ডাভ সাবানের মধ্যে কিভাবে খুঁজে নিবেন কোনটি আসল ডাক সাবান। কেননা যে পণ্য ভালো হয় তার ডুবলিকেট মার্কেটে প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা ডুপ্লিকেট সাবান বাজারে বিক্রয় করে বেশি মুনাফা অর্জনের জন্য। 

তাই বেশ কিছু নিয়ম অনুসরণ করে আপনি আসল ডাব সাবান চিনতে পারবেন। আসল ডাব সাবানের যে বৈশিষ্ট্য গুলো থাকবে তা হলঃ ডাব সাবানের প্যাকেজিং খুবই পরিষ্কার ও প্রিমিয়াম মানের হবে। প্যাকেটে লোগো ভালোভাবে স্পষ্ট থাকবে। ডুপ্লিকেট পণ্যগুলোর ডিজাইন ও লোগো কিছুটা ওস্পষ্ট হতে পারে। আসল ডাব সাবানের ওজন সঠিক ওজন থাকবে। 

কোম্পানির সঠিক লোগো, সাবানের অরজিনাল গন্ধ, আসল টেকচার সঠিক হবে। ডাভ সাবান unilever এর একটি পণ্য এর আন্তর্জাতিক বাজারে বেশ জনপ্রিয়তা রয়েছে। তাই আপনি যে দোকান থেকে কিনবেন সে দোকানের বিশ্বস্ততা যাচাই করে এরপর সাবানটি কিনলে আপনি নিশ্চিত হতে পারবেন। এই বিষয়গুলো অনুসরণ করে আপনি যদি ডাব সাবান কেনেন সে ক্ষেত্রে আসল ডাব সাবানটি পাবেন।

ডাব সাবান কোন দেশের পণ্য

অনেকে প্রতিনিয়ত খোঁজ করেন ডাব সাবান কোন দেশের পণ্য সে সম্পর্কে। ডাভ সাবান যুক্তরাজ্যের ইউনিলিভার কোম্পানির দ্বারা তৈরিকৃত একটি পণ্য। ইউনিলিভার একটি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান এর সদর দপ্তর যুক্তরাজ্য এবং নেদারল্যান্ডে রয়েছে। ডাভ সাবান ১৯৫৭ সালে প্রথম বাজারে আসে তখন থেকেই এটি বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। ডাব সাবানের পাশাপাশি আরো অন্যান্য পণ্য রয়েছে ইউনিলিভারের যা আমাদের বাংলাদেশে বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে।

ডাব সাবান দাম কত ২০২৪

অনেকে প্রতিনিয়ত ডাভ সাবান প্রাইস ইন বাংলাদেশ ও ডাভ সাবান দাম কত ২০২৪ সালে সে সম্পর্কে জানতে চান। মূলত ডাব সাবানের দাম নির্ধারিত হয় সাবানের ওজন, সাইজ, সাবানের ধরন, এর উপর ভিত্তি করে। ইউনিলিভার গ্রুপের বেশ কয়েকটি কোয়ালিটির ডাব সমান রয়েছে। ভিন্ন ভিন্ন কোয়ালিটির ডাভ সাবান এর দাম ভিন্ন রকম। তবে ডাভ সাবান ওজনের পার্থক্য অনুযায়ী ৫৫-৫০০ টাকার মধ্যে পাওয়া যায়। এটি একান্তই ডাভ সাবানের ধরণের উপর নির্ধারণ করে।

ডাভ সাবান ব্যবহারের নিয়ম

ডাব সাবান ব্যবহারের নিয়ম অনেকে জানতে চান। আপনি অন্যান্য সাবানের মতোই ডাব সাবান ব্যবহার করতে পারেন। তবে মুখে অথবা শরীরে ব্যবহারের ক্ষেত্রে এর কিছু ভিন্নতা রয়েছে। হোয়াইট বিউটি, গোল্ডেন বার ডাভ সাবান গুলো মুখের ত্বকে ব্যবহারের ক্ষেত্রে দিনে ১-২ বার ব্যবহার করুন। শরীরে ব্যবহারের ক্ষেত্রে একবার ব্যবহার করুন। 
প্রথমে পুরো মুখ ভালোভাবে অথবা পুরো শরীর ভালোভাবে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। এরপর ভালোভাবে আলতো করে সাবান ঘষে ফেনা তৈরি করুন। পুরো মুখ ও পুরো শরীর ভালোভাবে ম্যাসাজ করে দুই থেকে তিন মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।

লেখকের মন্তব্য

পুরো আর্টিকেলটিতে ডাব সাবানের দাম কত ও ডাভ সাবান প্রাইস ইন বাংলাদেশ সম্পর্কে সঠিক তথ্য শেয়ার করেছি। বেশ কিছু ভিন্ন ভিন্ন ধরনের ডাভ সাবানের দামের তালিকা দিয়েছি। ডাব সাবান সম্পর্কে প্রত্যেকটি বিষয় নিয়ে সঠিক তথ্য শেয়ার করেছি। ডাব সাবান সম্পর্কে যদি আপনাদের কোন প্রশ্ন থাকে সে ক্ষেত্রে কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন। 

এ সম্পর্কিত অন্য কোন আর্টিকেল পড়তে আমাদের ওয়েবসাইটের ক্যাটাগরি গুলো ঘুরে আসুন। ইনফরমেশন সম্পর্কিত অন্যান্য আর্টিকেল পড়তে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন। এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪